'তড়িৎ বিশ্লেষণ' সূত্র কে আবিষ্কার করেন?

Created: 6 years ago | Updated: 2 months ago

তড়িৎ কোষ (Electric Cell)

যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক শক্তি থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তড়িৎ শক্তি পাওয়া যায় তাকে তড়িৎ কোষ বলে। প্রতিটি বৈদ্যুতিক কোষের দুটি প্রান্ত তাকে। একটি হলো পজেটিভ বা ক্যাথোড (Cathode) এবং অন্যটি নেগেটিভ বা অ্যানোড (Anode)। বৈদ্যুতিক কোষ সর্বপ্রথম ১৮০০ সালে আবিষ্কার সবন ইটালির বিজ্ঞানী আলেকসান্দ্রো ভোল্টা। তড়িৎ কোষ দুই প্রকার। যথা-

তড়িৎ কোষ

তড়িৎ রাসায়নিক কোষ

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ

 

তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বা গ্যালভানিক সেল: যে তড়িৎ কোষে রাসায়নিক শক্তি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বলে। একে ভোল্টার কোষও বলা হয়।

 

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ: যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবকে দ্রবীভূত বা বিগলিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয়, তখন ঐ তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে এবং নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) বলে। যে পাত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ চালানো হয়, তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। হামফ্রে লেভি তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সর্বপ্রথম অনেকগুলো মৌলিক পদার্থ আলাদা করতে সক্ষম হন। তন্মধ্যে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, বেরিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, স্ট্রনসিয়াম, আয়োডিন উল্লেখযোগ্য। ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ বিশ্লেষণের দুটি সূত্র প্রণয়ন করেন।

Content added By

Related Question

View More